হোম
প্রকাশনা
৩১ অক্টোবর ২০২৪

এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা বাংলাদেশের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন ও হেমাটোলজি ক্ষেত্রে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন বিষয়ে বৈজ্ঞানিক আলোচনা আয়োজন করেছে।

এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা বাংলাদেশের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন ও হেমাটোলজি ক্ষেত্রে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন বিষয়ে বৈজ্ঞানিক আলোচনা আয়োজন করেছে।

[৩১ অক্টোবর, ২০২৪] – এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা সম্প্রতি "বাংলাদেশে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন ও হেমাটোলজির রূপান্তর" শীর্ষক একটি বৈজ্ঞানিক আলোচনা সভা ও এক র‍্যালির আয়োজন করেছে, যেখানে নার্স ও চিকিৎসকগণ ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে অংশগ্রহণ করেন এবং রক্তজনিত রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করেন। একইসাথে, হাসপাতালের হেমাটোলজি ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) ইউনিট তাদের রক্ত ক্যানসার ব্যবস্থাপনায় এক দশকের সফলতা উদযাপন করছে, যা শুরু হয়েছিল ১ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে।

এভারকেয়ার হাসপাতালস বাংলাদেশের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) হেমাটোলজি ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) ইউনিটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, “রক্ত ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি প্রতিরোধে সকলের আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন এবং সময়মতো চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারে সক্রিয় হওয়া উচিত। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে উন্নতমানের রোগীসেবা প্রদান করা।”

এভারকেয়ার হাসপাতালস বাংলাদেশের এমডি ও সিইও ডা. রত্নদীপ চাসকার বলেন, “আমাদের হেমাটোলজি ও বিএমটি বিভাগ বাংলাদেশে রোগীসেবার মানকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে। আমরা রোগীদের জন্য উদ্ভাবনী চিকিৎসা এবং আশার প্রদীপ জ্বালাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

এভারকেয়ার হাসপাতালস বাংলাদেশের গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, “গত এক দশকে আমাদের হেমাটোলজি ও বিএমটি বিভাগ উন্নত চিকিৎসা ও সহানুভূতিশীল সেবার মাধ্যমে জীবন রূপান্তরের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপনের পাশাপাশি আমরা রোগীসেবায় আরও উৎকর্ষতা ও আশার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যাশা করছি।”

হেমাটোলজি ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগ অতি অল্প সময়ে লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, মায়েলোমা এবং অন্যান্য রক্তজনিত রোগের নির্ণয়ে উৎকর্ষতা অর্জন করেছে। এক ছাদের নিচেই রয়েছে রোগ নির্ণয়, স্টেজিং, কেমোথেরাপি এবং বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের সুবিধা।

এই সেবা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে, যার জন্য রয়েছে নির্ধারিত বেড, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও দক্ষ নার্স। সর্বোচ্চ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে রয়েছে পজিটিভ প্রেসার ইউনিট (PPU), HEPA ফিল্টার, RO (রিভার্স অসমোসিস) পানির ব্যবস্থা ও এয়ার মাইক্রোবায়াল মনিটর। রোগভেদে আধুনিক ইমিউনোথেরাপি ও কেমোথেরাপি প্রদান করা হয়, যেখানে ব্যবহার করা হয় সেন্ট্রাল লাইন (পিআইসিসি লাইন, হিকম্যান লাইন, পারমা ক্যাথ, কেমো পোর্ট)। এখানে ২৪ ঘণ্টা সকল ধরনের রক্ত উপাদান সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে TPE, লিউকাফেরেসিস, এবং প্লেটলেটফেরেসিস। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় প্লাজমা সেপারেটর চালু করা হয়েছে এই ইউনিটে। এখানে স্টেম সেল প্রসেসিং ও ক্রায়োপ্রিজারভেশন সুবিধাও রয়েছে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় রয়েছে উন্নত চিকিৎসার সংযোজন, যার মধ্যে রয়েছে CAR-T সেল থেরাপি ও জিন থেরাপির মতো আধুনিক পদ্ধতি, যা কেবল বাংলাদেশেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর রোগীদের জন্যও চিকিৎসা সম্ভাবনা বাড়াবে।

এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উপলক্ষে ইউনিটটি রক্তজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে এবং তাদের চিকিৎসার ফলাফল আরও উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।